ঈশ্বরদীতে বীর মুক্তিযোদ্ধা সেলিম হত্যার বিচার দাবিতে প্রতিবাদ পথসভা মানববন্ধন

আপডেট: মার্চ ৩, ২০২৪, ৭:৫৭ অপরাহ্ণ


ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি:বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আ’লীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমান সেলিম হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতরা শনাক্ত ও বিচার করার প্রতিবাদে পাবনার ঈশ্বরদীতে প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

গতকাল রোববার দুপুরে শহরের স্টেশন সড়কে ‘ঈশ্বরদী উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধার-জনতা’ ব্যানারে পথসভা ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। মানববন্ধনের পর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার গোলাম মোস্তফা চান্না মন্ডলের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন পাবনা-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান বিশ্বাস, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রশিদুল্লাহ, আ.ত.ম. শহীদুজ্জামান নাসিম, সিরাজ উদ্দিন বিশ্বাস, জাহাঙ্গীর আলম, হবিবুল ইসলাম, রেজাউল ইসলাম মহিদুল, রফিকুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম মিন্টু,

ফজলুল হক বুদু, ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিন্টু, পাকশী ইউনিয়ন আ’লীগ সাধারণ সম্পাদক ছাইফুল আলম বাবু মন্ডল, উপজেলা আ’লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম বিশ্বাস, স্বেচ্চাসেবক লীগ আহবায়ক মাসুদ রানা ও পাকশী ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি আনোয়ার হোসেন। পথসভা সঞ্চালনায় ছিলেন পাকশী ইউনিয়ন আ’লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রাজা।

বক্তারা বলেন, আসছে ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসের আগেই মুক্তিযোদ্ধা সেলিমের হত্যাকারী কারা জানতে চাই। হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে বিচার শুরু করা না হলে গোটা ঈশ্বরদী অচল করতে কঠোর আন্দোলন দেওয়া হবে। সেই আন্দোলনে সকল মুক্তিযোদ্ধারা অংশ নেবে।

উল্লেখ্য, পাঁচ বছর আগে ২০১৯ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টার দিকে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফিজুর রহমান সেলিম পাকশীর রূপপুরে তাঁর নিজ বাড়ির সামনে দূর্বত্তের গুলিতে গুরুতর আহত হন। স্বজনরা তাঁকে উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। তাঁর অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে ওইদিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে তিনি মারা যান। পরদিন ৭ ফেব্রুয়ারি রাতে এ ঘটনায় তাঁর ছেলে তানভির রহমান তন্ময় বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামী করে ঈশ্বরদী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ