যন্ত্রে ধানগাছ রোপণ করছে রাণীনগরের কৃষক

আপডেট: জানুয়ারি ২৬, ২০২৪, ৪:৩৫ অপরাহ্ণ


আব্দুর রউফ রিপন, নওগাঁ প্রতিনিধি: রাণীনগরে এই প্রথম যন্ত্রের মাধ্যমে ধানগাছ রোপণ করছেন কৃষকরা। দেশের পুরাতন কৃষিকে আধুনিকায়ন ও সময় উপযোগী করার জন্য ট্রেতে ধানের চারা উৎপাদন থেকে শুরু করে ধান কর্তন এবং ধান মাড়াই করা সব কার্যক্রম কৃষি যন্ত্রের মাধ্যমে করার জন্য সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে কৃষি বিভাগ।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, সরকারের পদক্ষেপগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে উপজেলার পুরান কৃষি ব্যবস্থা ডিজিটালে রূপান্তরিত করতে কাজ করছে কৃষি বিভাগ। ক্রমেই কৃষকরা আধুনিক কৃষি কৃষি যান্ত্রিকরণ যুগে প্রবেশ করছে। প্রতি মৌসুমেই কৃষকরা সরকার কর্তৃক ভর্তুকিতে পাওয়া বিভিন্ন কৃষি যন্ত্র পাচ্ছেন এবং সেই কৃষি যন্ত্র নিজেদের ব্যবহারের পাশাপাশি অন্যদের মাঝেও ছড়িয়ে দিয়ে সরকারের গৃহিত পদক্ষেপ কৃষকরা সফল করছেন।

সম্প্রতি উপজেলার একডালা ইউনিয়নে হাইব্রিড বোরো ধানের সমলয় চাষাবাদ ব্লক প্রদর্শনির রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের সাহায্যে জমিতে ধানের চারা রোপণ কার্যক্রমের উদ্ধোধন করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ দুলু, নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে তাবাসসুম, কৃষি কর্মকর্তা ফারজানা হক, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেহেদী হাসান, একডালা ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার শাহজাহান আলী, কৃষক মোজাম্মেল হক, খাইরুল ইসলাম, আকরাম হোসেন, তোজাম্মেল হক, মামুন হোসেন প্রমুখ।

একডালা গ্রামের কৃষক মোজাম্মেল হক, মামুন হোসেনসহ অনেকেই জানায় তারা কৃষি যন্ত্র পেয়ে অনেক উপকৃত হচ্ছেন। বিশেষ করে কৃষি শ্রমিকদের সমস্যা থেকে অনেকটাই রেহাই পাওয়া যাচ্ছে। দিন যতই যাচ্ছে ততই কৃষি শ্রমিকদের সংকট প্রকট হচ্ছে। এই সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ধান রোপণ, কাটা ও মাড়াইয়ের মেশিনগুলো মাইলফলক হিসেবে কাজ করছে। এতে করে এই কৃষকরা নানাভাবে উপকৃত হচ্ছে। পুরাতন কৃষিকে ডিজিটালে পরিণত করতে আগামীতেও উপজেলার কৃষকরা আরো সহজলভ্য উপায়ে এমন সহযোগিতা বেশি বেশি করে পেতে চান কৃষকরা।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফাজানা হক বলেন, কৃষি যান্ত্রিকরণের প্রতি কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতেই এই প্রথম কৃষি বিভাগ স্বউদ্যোগে একডালা ইউনিয়নের ৬০ জন কৃষকের দেড়শো বিঘা জমিতে ট্রেতে ধানের চারা উৎপাদন করে রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের সাহায্যে চারা রোপণ করে দেয়া। এমন কার্যক্রমের মাধ্যমে অন্য কৃষকদের যন্ত্র ব্যবহারে উৎসাহিত করা হচ্ছে। কৃষকরা তার কৃষি খামারে আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে কৃষিকাজ করে তাহলে কৃষক শ্রমিক সংকট কাটিয়ে কৃষি পেশাকে আরো আধুনিক, লাভজনক, বাণিজ্যিক ও যান্ত্রিক কৃষিতে রূপান্তরিত করিতে পারিবেন।

তিনি বলেন, প্রতি মৌসুমে সরকারের ভর্তুকিতে প্রদান করা জমি চাষের জন্য সিডার মেশিন, ধান মাড়াই মেশিন, গার্ডেন ট্রেইলার, হার্ভেস্টার মেশিসসহ বিভিন্ন কৃষিযন্ত্র বিতরণ কার্যক্রমও অব্যাহত আছে। আমি আশাবাদি এমন কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশের কৃষি ও কৃষকরা দ্রুতই আধুনিক কৃষিতে পরিণত হয়ে যে কোনো ফসলের উৎপাদন বাড়িয়ে দেশের অর্থনীতির চাঁকাকে আরো চাঙ্গা করতে সক্ষম হবে।