ফুলবাড়ীতে লাউয়ের দাম কমে যাওয়ায় বিপাকে চাষিরা

আপডেট: মার্চ ২৩, ২০২৪, ১০:০৪ অপরাহ্ণ


ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে বাজারে প্রচুর লাউ উঠলেও দাম না পাওয়ায় উৎপাদিত লাউ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন চাষিরা। যে দামে বিক্রি হচ্ছে, তাতে কৃষকের উৎপাদন খরচ না উঠার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

শনিবার (২৩ মার্চ) সকালে ফুলবাড়ী পৌর এলাকার পাইকারী সবজি বাজারে গিয়ে দেখা যায়, সবজি বাজারে অন্তত ১০ জন লাউ চাষি তাদের উৎপাদিত লাউ নিয়ে বসে আছেন ক্রেতার অপেক্ষায়। ক্রেতা মিললেও  দাম মিলছে না চাহিদানুযায়ী। বড় সাইজের দেড় থেকে দুই কেজি ওজনের এক-একটি লাউ ৮ থেকে ১০ টাকা এবং এক কেজির নিচে ওজনের মাঝারি সাইজের এক-একটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫ থেকে ৭ টাকা পিচ হিসেবে। এ দামেও ক্রেতা মিলছে না। ফলে চোখে মুখে হতাশার ছাপ নিয়ে বসে আছেন কৃষকরা তাদের লাউয়ের সাথে।

ফুলবাড়ী পৌর এলাকার দক্ষিণ কৃষ্ণপুর গ্রামের লাউ চাষি গোলাম মোস্তফা আকন্দ বলেন, ১৭ শতক জমিতে লাউ আবাদ করেছেন। লাউ চাষ করতে সার, বীজ, সেচ, লেবার ও বাঁশের মাচা তৈরিসহ আনুসাঙ্গিক খরচ হয়েছে প্রায় ২৫ হাজার টাকা।

প্রথম দিকে এক থেকে দেড় কেজি ওজনের বড় সাইজের এক-একটি লাউয়ের দাম ৪৫ থেকে ৫০ টাকা পিচ হিসেবে বিক্রি করছেন। এর কিছুদিন পরেই একই সাইজের লাউ বিক্রি করেছেন আকার ভেদে ২০ থেকে ২৫ টাকা পিচ হিসেবে। এখন একই সাইজের লাউ ১০ টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে না। আগামীতে আরো দাম কমে আসতে পারে এমন শঙ্কা কাজ করছে তার মনে। এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে লাউয়ের উৎপাদন খরচ উঠাবে না।

উপজেলার খয়েরবাড়ী ইউনিয়নের মুক্তারপুর ডাঙাপাড়া গ্রামের লাউ চাষি হাবিবুর রহমান বলেন, ১৫ শতক জমিতে লাউ চাষ করেছেন। প্রথম দিকে উৎপাদিত লাউয়ের দাম আশানুরূপ পাওয়া গেলেও এখন দাম একেবারেই নেই বললেই চলে।

শনিবার (২৩ মার্চ) খুব সকালে বাজারে এসে এক ব্যক্তিকে ৪০ টি লাউ দিয়েছেন। কত টাকা দেবে কিছুই জানেন না। লাউয়ের দাম পড়ে যাওয়ায় লাউ পরিবহনের টাকাটাও উঠবে কি না তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। এখনও অন্তত শতাধিক লাউ গাছে ঝুলে আছে। এগুলো না তুললে বাঁশের মাচাটি ভেঙে পড়বে।পাইকারী সবজি ব্যবসায়ী অজয় দত্ত বলেন, পাইকারী বাজারে প্রচুর পরিমাণে লাউ ওঠার পাশাপাশি চাহিদা কমে যাওয়ায় লাউয়ের দাম পড়ে গেছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রুম্মান আক্তার বলেন, উপজেলায় এক হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ করা হয়েছে। এরমধ্যে লাউয়ের দামও রয়েছে। তবে এ বছর উপজেলার প্রায় প্রত্যেক এলাকাতেই প্রচুর পরিমাণে লাউ আবাদ এবং উৎপাদন হয়েছে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ