শিবগঞ্জের নারীরা এখন সচেতন

আপডেট: এপ্রিল ৫, ২০২৪, ১২:১০ পূর্বাহ্ণ

ক্ষমতায়নের অভিন্ন ধারা এগিয়ে নিতে হবে
নারী শক্তির উদ্বোধন ঘটাতে পারলে দেশের উন্নয়ন-অগ্রতি ত্বরান্বিত হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে যতটুকু অগ্রগতি হয়েছে তাতেই অর্থনীতির চেহারা অনেকটাই পাল্টে গেছে। এটাকে কোনোভাবেই অস্বীকার উপায় নেই। দেশের এমন কোনো ক্ষেত্র নেই যেখানে নারীরা কাজ করে সফল হচ্ছে না। তদুপরি সমাজের একটি অংশ নারীকে পশ্চাদপদ করে রাখতে নিরন্তর বাধা-বিঘ্ন সৃষ্টি করে যাচ্ছে। কিন্তু সময়ের প্রয়োজনেই নারীকে উঠে দাঁড়াতে হচ্ছে, স্বনির্ভর হতে হচ্ছে। দেশের সরকার নারীদের ক্ষমতায়নে নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর সুফল পাওয়া যাচ্ছে।

সোনার দেশ পত্রিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নানা প্রতিকুলতার মাঝেও শিবগঞ্জ উপজেলায় নারীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে নারীরা নিজেরাই নিজেরদের সমস্যার সমাধানে ব্যাপৃত হতে পারছে। তারা নিজ স্বকীয়তায় আত্মনির্ভর হওয়ার প্রয়াস চালাচ্ছে এবং দুর্যোগ-দুর্ভবনার প্রতিকারও করছে। এটা এমন এক প্রত্যাশিত ব্যাপার যে, মানব উন্নয়নের সূচক পরিবর্তনের ধারণাকে এগিয়ে নিয়ে চলেছে। এ ব্যাপারে সরকারের মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর নারীদের মধ্যে যে কর্ম-উদ্দীপনা ও সমাজ ভাবনার সৃষ্টি করেছে তাতে অনেক নারী সংঘবদ্ধ হয়েছে এবং তারা সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা অর্জন করছে।

নারীর সচেতনতা বৃৃদ্ধিতে উঠান বৈঠক, বাল্য বিয়ে প্রতিরোধ কমিটি, নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি শিশু শ্রম পরিবীক্ষণ কমিটি, কিশোর-কিশোরী ক্লাব গঠনের মাধ্যমে অগ্রগতি দৃশ্যমান হচ্ছে।

অবশ্যই এ চিত্র শুধু শিবগঞ্জের নয়। দেশটাই নারীর শক্তিতে উজ্জীবিত হয়ে উঠছে। রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকলে যে অনেক কাজই সাফল্য বয়ে আনতে পারেÑ দেশের নারীর ক্ষমতায়ন সরকারের তেমনি একটি সিদ্ধান্ত। পুরুষের সাখে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করা না গেলে পশ্চাদপদতা থেকে জাতিকে বের করে আনা সম্ভব হবে না। এটা উন্নয়ন অগ্রগতিরই শর্ত। জনশক্তিকে সমষ্টিগত কর্মমুখি ধারায় সন্নিবেশ করার মধ্য দিয়ে মানব উন্নয়নের ধারণা আরো এগিয়ে নিতে হবে। এটা টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টেরও শর্ত। এ শর্ত অবজ্ঞা করা মানেই পিছিয়ে পড়া। সবকিছুকে এগিয়ে যাওয়ায় যে বিশ্ব অঙ্গীকার। এ অঙ্গীকার সুরক্ষা সবার দায়িত্ব।