আমদানি-রপ্তানির আড়ালে অর্থ পাচার

আপডেট: ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৪, ১২:১০ পূর্বাহ্ণ

অর্থ ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেয়া হোক

সংবাদ মাধ্যমের তথ্যমতে, অর্থপাচারের ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশই হচ্ছে আমদানি-রপ্তানির আড়ালে। ব্যাংকিং চ্যানেলে ‘আন্ডার ও ওভার ইনভয়েসের’ মাধ্যমে এসব অর্থপাচার হয়ে থাকে। ব্যাংক যদি এটি বন্ধে সহযোগিতা না করে তাহলে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হবে। তবে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনা ও সহযোগিতায় ১০ দেশের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি করা হচ্ছে। ২০ ফেব্রুয়ারি অর্থপাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) ২০২২-২৩ অর্থবছরের বার্ষিক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।

বিদেশে অর্থ পাচার এবং বিদেশে সম্পদ অর্জন কিংবা ব্যবসায় বিনেয়োগের সরব আলোচনা-সমালোচনা দীর্ঘদিনের। বিদেশে অর্থপাচারের বিষয়টি ‘রাজনৈতিক তকমা’ হিসেবেই বেশি প্রচারণা আছে। রাজনৈতিকভাবে হয়রানির উদ্দেশ্যেই না কি এ ধরনের অভিযোগ উত্থাপিত হয়। এর ফলে দেশের মানুষও বিভ্রান্ত হয়। কিন্তু প্রকৃতঅর্থেই পাচার যে হয় তা সংবাদ মাধ্যমের তথ্য থেকেই তা জানা যায়। বিএফআইইউ-এর গবেষণা প্রতিবেদনের তথ্যে তা আরো স্পষ্ট হয়ে উঠে। তথ্যমতে দেশের আর্থিক খাতে সন্দেহজনক লেনদেন বেড়েই চলছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে সন্দেহজনক লেনদেন ছিল ১৪ হাজার ১০৬ টি, যা তার আগের অর্থবছরে ছিল ৮ হাজার ৫৭১টি। তথ্য বলছে, এক বছরের ব্যবধানে সন্দেহজনক লেনদেন বেড়েছে ৫ হাজার ৫৩৫ বা প্রায় ৬৪ দশমিক ৫৮ শতাংশ। আর ২০২০-২১ অর্থবছরে সন্দেহজন লেনদেনের সংখ্যা ছিল ৫ হাজার ২৮০টি।

উল্লিখিত লেনদেন সন্দেহজনকই যদি হয় তবে তা খতিয়ে দেখার বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে। সদিচ্ছা থেকেই সৃষ্ট সন্দেহের আবরণমুক্ত হওয়া বাঞ্ছনীয়। এটাও যদি রাজনৈতিক দুরভিসন্ধীর মুখে পড়ে তা হলে দেশের ভয়ঙ্কর স্বার্থবিরোধী তৎপরতাই উৎসাহিত হবে। যেমন বলা হচ্ছে, সন্দেহজনকজনক লেনদেন বৃদ্ধি পাচ্ছেই। বৃদ্ধির এই ধারা তখনই উৎসাহিত হয় যখন আবরণ সৃষ্টি করা হয়। সন্দেহজনক লেনদেনের মাধ্যমে বিদেশে অর্থ পাচার করে দেশকে দুর্বল করা হচ্ছেÑ এরা বিশ্বাসঘাতক, দেশদ্রোহী। এদের চিহ্নিত করে পাচার করা অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেয়া হবে এটাই প্রত্যাশিত।