দাম কমেছে সবজির, বেড়েছে মাছ-মাংসের

আপডেট: মার্চ ৩১, ২০২৪, ১২:১০ পূর্বাহ্ণ

বেশি দামের পণ্যের দিকে নজর কম দিন

রমজান শুরুর আগের দিন নগরীর মাস্টারপাড়া কাঁচাবাজারে প্রচুর ভিড় ছিল। আর এই ভিড়ের মধ্যে দুই-তিন জায়গায় বিক্রি হয়েছে হালিতে ৫০ থেকে ৬০ টাকা লেবু। আর এই লেবু ক্রয় করতে-ই যেন হুমড়ি খেয়ে পড়ছিলেন ক্রেতারা। এরই মাঝে বিক্রেতাকে এক ক্রেতার আকুতি- লেবু’র দাম তো বেশি। একটু কম দাম নিয়েন। জবাবে বিক্রেতা বললেন, ‘যে পণ্যের দাম বেশি, সেগুলোর খাওয়া একটু কমিয়ে দিয়েন- এমনিতেই কমে যাবে। আমাদেরকে বেশি দামে পণ্য বিক্রি করতে হবে না।

তখন আমাদের কাছে দাম কমানোর জন্য আকুতি করতে হবে না।’-বিক্রেতার কথার রেশ ধরে আমরা বলতে চাই। যেসব পণ্যের দাম একটু বেশি হয়। সেগুলোর দিকে ক্রেতাদের একটু বেশি নজর দিয়ে থাকেন। তখন বিক্রেতারাও সে-সুযোগটা ভালোভাবে নিয়ে থাকেন। তাই একটা সহনীয় মাত্রায় পণ্যের দাম ঠিক রাখতে ক্রেতাদের বড় ভূমিকা রাখতে হবে। তাইতো সেই লেবু’র প্রতি ক্রেতাদের নজর একটু কম দেয়ায় বিক্রেতারা এখন ২০ থেকে ৩০ টাকা হালিতে বিক্রি করছেন। শুধু লেবু নয়, তরমুজ রমজানের প্রথম দিকে বাজারে নিয়ে আসার পর ধারের কাছে ভিড়তে পারছিলেন না ক্রেতারা। এসময় ক্রেতারা একটু সচেতন হওয়ায় তরমুজের প্রতি কম নজর দিতে শুরু করলেন।

ঠিক রমজানের অর্ধেক সময়ে এসে মৌসুমি ফল তরমুজের দামও কিছুটা কমেছে। নগরীর সাহেববাজারে তরমুজ বিক্রেতাদের হাকডাকও নজর কাড়ছে না ক্রেতাদের। রোজার প্রথম দিকে ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া তরমুজ এখন ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে। এছাড়াও যেসব কাঁচা সবজির দাম প্রথম দিকে বেশি ছিল। সেগুলো এখনও অনেক কমে গেছে। কিন্তু কমেনি মাছ-মাংসের দাম। দিন দিন বাড়ছে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাজশাহী বিভিন্ন বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজিতে। লাল লেয়ার ৩৩০ টাকা, সাদা লেয়ার ৩০০ টাকা, সোনালী ৩০০ টাকা ও দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ টাকা কেজি। প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হয়েছে ৭৫০ টাকা দরে। সেই সঙ্গে খাসির মাংস প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ১১০০ টাকায়। ক্রেতাদের এখন -মাছ-মাংসের প্রতি নজর কম দিতে হবে। তাহলে মাছ-মাংসের দামও কমতে বাধ্য হবে। অনেকে আছেন রমজান মাসে শখ করে মাংস কিনে। আর এই সুযোগেই ক্রেতাদের জিম্মি করে মাংসের দাম দফায় দফায় বাড়িয়ে দিয়েছে ব্যবসায়ীরা। তাই ব্যবাসীয়দের কাছে আমরা জিম্মি হতে চায় না। কারণ ভোক্তার কারণে তারা ঠিকে আছেন। ভোক্তা যদি একটু সচেতন হোন। তাহলেই ব্যবসায়ীরা বাড়তি দামের জালে ক্রেতাদের আটকাতে পারবেন না-এমনটাই আমরা প্রত্যাশা করি।