দুই চিকিৎসক খুনের ঘটনায় হয়নি রহস্য উদঘাটন

আপডেট: নভেম্বর ১, ২০২৩, ১১:৫৭ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক:


রাজশাহীতে এক রাতে দুই চিকিৎসককে হত্যায় কোনো রহস্য উদঘাটন হয়নি। ৭২ ঘণ্টায় পুলিশ কোনো ক্লু ও কাউকে শনাক্ত করতে পারেনি।
রোববার (২৯ অক্টোবর) রাতে তিন ঘণ্টার ব্যবধানে খুন হন দুইজন চিকিৎসক। নিহত দু’জন হলেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের যৌন ও চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ গোলাম কাজেম আলী আহমদ (৪২)। তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজের (রামেক) এমবিবিএস ৪২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও রামেক শাখার রামেক শাখার সভাপতি ছিলেন বলে জানা গেছে। পল্লী চিকিৎসক এরশাদ আলী দুলাল (৪৫)। তার নিজস্ব ওষুধের দোকান আছে। তিনি জামায়াতের সমর্থক ছিলেন বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। পুলিশের একটি সূত্র বলছে, দুই চিকিৎসকই ছিলেন জামায়াতের অর্থদাতা।

পুলিশের একটি সূত্র বলছেন, মারা যাওয়া দুজনেই ছিলেন জামায়াতের ‘অর্থদাতা’। ডা. কাজেম ছাত্রশিবিরের রাজনীতি করলেও তিনি কোনো জামায়াতের পদে ছিলেন না। নিয়মিত জামায়াতকে অর্থ সহায়তা করতেন। এছাড়া পল্লী চিকিৎসক দুলালও জামায়াতের কোনো পদে ছিলেন না।

তিনি জমি কেনার বেচার কাজ করতেন। কৃষ্টগঞ্জ বাজারে তার ওষুধের দোকান ছিল। জমি কেনাবেচার অর্থ দিয়ে তিনি জামায়াতকে সহায়তা করতেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রটি বলছে, ডা. কাজেমের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার দেবীনগর গ্রামে। তিনি ওই গ্রামে মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেছেন। এছাড়াও বিভিন্ন সময় তার এলাকাতে ইসলামী জলসার আয়োজন করতেন তিনি।

রাজপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল আলম বলেন, ডা. কাজেমের হত্যাকাণ্ড নিয়ে কোনো ক্লু পাওয়া যায়নি। এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচনের চেষ্টা চলছে।

চন্দ্রিমা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুব আলম জানান, পল্লী চিকিৎসক দুলাল হত্যাকাণ্ডের কোনো ক্লু পাওয়া যায়নি। তার বড় ভাই বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। আমরা এখনও তদন্ত করছি।