নিয়ামতপুরে আত্মহত্যার ঘটনা বাড়ছে, ফেব্রুয়ারিতেই নিহত ৮

আপডেট: মার্চ ১, ২০২৪, ৫:২৬ অপরাহ্ণ


সিরাজুল ইসলাম, নিয়ামতপুর(নওগাঁ) :নওগাঁর নিয়ামতপুরে আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ছে। ফেব্রুয়ারি ২০২৪ মাসে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে ৮টি। এসব ঘটনা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বয়স্ক ব্যক্তিদের সাথে কমবয়সী ছেলেমেয়েদের মধ্যেও আত্মহত্যার ঘটনা ঘটছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দাম্পত্য কলহ, পরকীয়া, অভাব-অনটন, যুবক-যুবতীদের পছন্দমতো বিয়ে না দেয়া বা হওয়া, সামাজিক অবক্ষয় এবং ছোট ছোট বিষয়ে আত্মকেন্দ্রিক হওয়ার কারণে বাড়ছে আত্মহত্যার ঘটনা। কয়েক বছর থেকে এ প্রবণতা আরো বাড়ছে।
থানা সূত্রে জানা গেছে, আত্মহত্যাকারীদের মধ্যে অধিকাংশের বয়স ১৩-৫০ এর মধ্যে।

প্রাপ্ততথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, পুরুষ-নারীরা প্রধানত দুই প্রক্রিয়ায় আত্মহত্যা করে থাকে। আত্মহত্যার একটি প্রক্রিয়া হচ্ছে, গলায় ফাঁস এবং অন্যটি হচ্ছে বিষপানে আত্মহত্যা। তবে ঘুমের ওষুধ ও অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণেও আত্মহত্যা করে থাকেন কিছু মানুষ। গত ফেব্রুয়ারি মাসে আত্মহত্যার ঘটনায় পাঁচ জন গলায় ফাঁস, একজন বিষপান ও দু’জন অজ্ঞাত কারণে মৃত্যু হয়েছে।

নিয়ামতপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মমতাজ হোসেন মন্ডল বলেন, বিশ্বায়নের এ যুগে আর্থসামাজিক ও পারিপার্শ্বিক অবস্থার পরিবর্তনের কারণে আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ছে। পারিবারিক সম্পর্কে পরস্পর শ্রদ্ধাবোধের জায়গাগুলো দুর্বল হয়ে পড়েছে। এতেই আত্মহত্যার মতো ঘটনাগুলো বাড়ছে।

তিনি আরো বলেন, বাবা-মায়ের মাত্রারিক্ত শাসন বা অবহেলার কারণে এমনটি হতে পারে। তাছাড়া পরিবারগুলো ছোট হয়ে আসছে। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বৃদ্ধরাও মেলামেশা বা তার ভাব প্রকাশের জন্য কাউকে পাচ্ছে না। ফলে একদিকে বাড়ছে হতাশা, অন্যদিকে বাড়ছে একাকিত্ব।

ফলে কেউ কিশোর বয়সেই আত্মহত্যা করছে আবার কেউ করছে বার্ধক্যে গিয়ে। শুধুমাত্র সচেতনতার মাধ্যমে আত্মহত্যার ঘটনা কমানো যেতে পারে বলে জানান তিনি।
থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাইদুল ইসলাম বলেন, ফেব্রুয়ারিতে ৮টি আত্মহত্যার ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত। সমাজে নেতৃত্বদানকারী সকলে মিলেই এ বিষয়ে সচেতনতা তৈরির কাজ করে যেতে হবে। সচেতনতা না বাড়লে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়ানো যাবে না।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ