বদলগাছীতে সরিষার হলুদ ফুলে সেজেছে মাঠ

আপডেট: জানুয়ারি ১০, ২০২৪, ২:৫৮ অপরাহ্ণ


এমদাদুল হক দুলু বদলগাছী (নওগা) প্রতিনিধি:


বদলগাছীতে সরিষার হলুদ ফুলে প্রকৃতি ও মাঠ যেন হুলদ ফুলের বিছানা। ফুলের ঘ্রাণে মৌমাছি মধু আহরণে ছুটছে এগাছ থেকে ওগাছে। চলতি মৌসুমে উপজেলার সব এলাকাতেই শরিষার চাষ করেছে কৃষক। এর মধ্যে মথুরাপুর ইউনিয়নের গোবরচাপা এলাকা ও কাষ্টগাড়ী বিলে শরিষার চাষাবাদ চোখে পড়ার মত। এ্ উপজেলায় বিনা সরিষা-৪, ৯, বারি সারিষা ১৮ থেকে ৮০, বারি সরিষা ১৫, ১৭,১ জাতের সরিষা চাষাবাদ হয়েছে বলে কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়। ভোজ্য তেলের চাহিদা পূরণে সরিষা চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। স্বল্প খরচে সরিষা চাষ করা যায়। এতে আর্থিকভাবেও লাভবান হচ্ছেন কৃষক।

কৃষক আবজাল মিয়া জানান, ২ বিঘা সরিষা চাষ করেছি, আশা করি ভালো ফলন পাবো। শরিষার খেতে চোখ পড়লে মনে হয় যেন পুরো মাঠ হলুদ ফলে সেজেছে। মাঠে মাঠে হলুদ ফুলের সমারোহে নজরকাড়ে পথচারীদের। সরিষা খেত দেখলেই বিনোদন প্রেমি নারী পুরুষ ছবি তুলতে নেমে পড়ে খেতে। মাঠ ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার সব এলাকাতেই কমবেশি শরিষা চাষাবাদ করা হয়েছে।

কোনো কোনো জমিতে শরিষার গাছে ফুল ফুটতে শুরু করেছে। আবার কোনো জমিতে পুরো ফুল ফুটেছে, শরিষার ফল ধরেছে। আগাম সরিষা খেতের ফুল ঝরে পড়েছে। ফলের ভিতর শরিষা দানা গঠন হয়েছে। চাষিরা দুচোখে দেখছে শুধুই শর্ষে ফুল, তবে সেটা বিপদের নয় আনন্দে। কারণ হিসাবে অনেক কৃষক জানায়, আকাশের বৃষ্টি হলে সরিষা চাষাবাদ ব্যাহত হয়।

চলতি মৌসুমে শুরু থেকেই আবহাওয়া ও পরিবেশ অনুকুল থাকায় সরিষার খেত ভালো হয়েছে। কৃষকরা বাম্পার ফলনে আশাবাদী। কৃষি বিভাগের সূত্রমতে সরিষা ফুলে মৌমাছি না বসে তাহলে ফলন ব্যাহত হবে এবং দানা মরা হবে। ফুলে যত বেশি মৌমাছি বসবে তত পরাগায়ণ হবে। সরিষার ফলন ভালো হবে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ৮ ইউনিয়নে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ হাজার ৩শ হেক্টর। লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে সরিষা চাষ হয়েছে ৩ হাজার ৩১০ হেক্টর জমিতে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাবাব ফারহান জানান, স্বল্প খরচে অধিক লাভবান হওয়ায় কৃষকদের মধ্যে সরিষা চাষের আগ্রহ বাড়ছে। আমরা তেল জাতীয় ফসল আমদানি করার জন্য সরিষা চাষকে গুরুত্ব দিচ্ছি। এছাড়া সরিষা ফুল থেকে মধু উৎপাদনের জন্য ৪ জন কৃষকের মাঝে মৌবাক্স সরবরাহ করেছি।