বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক

আপডেট: মার্চ ৪, ২০২৪, ১২:১০ পূর্বাহ্ণ

‘দুই দেশের ভবিষ্যত পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত’

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যেকার সম্পর্ক কূটনীতির চাতুর্যের বাইরে গিয়েই বিনির্মাণ করার তাগিদ আছে। দু’দেশের মানুষের আকাক্সক্ষাও তাই। সম্পর্কটা আত্মার অনুভবে, রক্তের বাঁধনে উপলব্ধি করা বাঞ্ছনীয়। এর ব্যত্যয় হলে উভয় দেশকেই ভুগতে হবে, যা কোনো দেশের জন্যই শুভ ফল বয়ে আনবে না। এমনই গভীর অনুভবের কথাই বললেন, ভারতের মহারাষ্ট্রের গভর্নর রমেশ বাইস। শুক্রবার (১ মার্চ) বিকেলে মুম্বাইয়ে গভর্নর হাউজে বাংলাদেশ যুব প্রতিনিধি দলের সদস্যদের নিয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের বক্তৃতায় দুই দেশের সম্পর্কের ভিত্তিমূল রূপরেখাই তুলে ধরেন তিনি।

তিনি বলেন, আমাদের ভূমি, নদী, সমুদ্র, সংস্কৃতি এবং সভ্যতা পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত। এই দুই দেশের ভবিষ্যতও পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত। আজ ভারত পৃথিবীর সবেচেয়ে বড় যুব দেশ। আর বাংলাদেশও যুব দেশ হিসেবে উত্তরোত্তর উন্নতি করছে। ভারত বন্ধুত্ব, বিশ্বাস ও বোঝাপড়ার মাধ্যমে পারস্পরিক লাভ এবং সমগ্র ক্ষেত্রে সার্বিক বিকাশের মধ্য দিয়ে এই সম্পর্ক আরো মজবুত করতে বদ্ধপরিকর।

বাংলাদেশ ও মহারাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পারস্পরিক অংশিদারিত্বের মাধ্যমে সংস্কৃতি বিনিময় করতে পারে বলে মন্তব্য করে গভর্নর রমেশ বাইস বলেন, বর্তমানে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে
‘দুই দেশের ভবিষ্যত পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত’-গভর্নর রমেশ বাইসের এই মন্তব্য একটি আদর্শিক অবস্থানের ভিত্তি রচিত হয়েছে। বাস্তবিকভাবে এই আদর্শের মধ্যেই দুই দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি ও ক্যল্যাণ নিহিত আছে।
১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি নয়া দিল্লিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহামন যে বক্তৃতা দিয়েছিলেন তাতেই দুই দেশের সর্ম্পকের ভীত রচিত হয়েছিল। যা গভর্নর রমেশ বাইসের বক্তব্য থেকে পুনর্ব্যক্ত হয়েছে। বন্ধুত্ব, বিশ্বাস ও বোঝাপড়ার বিষয়টি তখনই স্পষ্ট হয়েছিল।

এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, সেই আদর্শের ভিত্তি ধরেই বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক গতি পাচ্ছে। আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে দুই দেশের সম্পর্ক নতুন উচ্চতা লাভ করেছে। কিন্তু এটাও মনে রাখতে হবে যে, এই সম্পর্কের বিপরীতের স্রোতও প্রবল গতি পেয়েছে। এই পরিস্থিতিতে উভয় দেশের ত্বরিত করণীয়গুলোও ঠিক করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। সিদ্ধান্ত খুবই নির্দিষ্ট এবং সময়বদ্ধ হওয়া বাঞ্ছনীয় হবে। নতুবা বিরোধী পক্ষ বিরোধিতার সুযোগ নিয়ে প্রপাগান্ডা তৈরি করতে পিছপা হবে না। বাংলাদেশÑভারত কিছু অমিমাংসিত বিষয়ের সমাধান হয়েছে। আরো কিছু বিষয় আছে যার সমাধান দ্রুত হওয়া দরকার। সেগুলো নিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সমালোচনা আছে, প্রচার আছে। এগুলো দেশের মানুষকে প্রভাবিত করে। অমিমাংশিত বিষয় বছরের পর বছর ঝুলে থাকলে তা বিরূপ পরিস্থিতির সৃষ্টি করবে এটাই স্বাভাবিক। সম্পর্ক বিচারে এসব সমস্যার দ্রুত সমাধান হওয়া উচিৎ।