বিজয়রথ থামল নাইটদের, ব্যাটিং ভরাডুবিতে চেন্নাইয়ের কাছে প্রথম হার

আপডেট: এপ্রিল ৯, ২০২৪, ১:০৮ অপরাহ্ণ


সোনার দেশ ডেস্ক:জয়ের হ্যাটট্রিকের পর মুখ থুবড়ে পড়ল কলকাতা নাইট-রাইডার্স। দিল্লির বিরুদ্ধে আই.পি.এলে’র ইতিহাসে ২য় সর্বোচ্চ রানের পরের ম্যাচে ব্যাটিং বিপর্যয়। সোমবার (৮ এপ্রিল) সন্ধেয় চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে ১০০ করতে নাস্তানাবুদ-নাইটরা। জোড়া হারের পর চিপকে ৭ উইকেটে জিতলো চেন্নাই সুপার কিংস। ঘরের মাঠে জয়ের হ্যাটট্রিক ধোনিদের। ১ম ব্যাট করে নয় উইকেট হারিয়ে ১শো৩৭ রান তোলে কে.কে.আর।

সিএসকে জবাবে ১৭.৪ ওভারে লক্ষে পৌঁছে যায়। রবীন্দ্র জাদেজার ঘূর্ণি ম্যাচের ভাগ্য বদলে দেয়। ১৮ রানে ৩ উইকেট শিকার চেন্নাইয়ের অলরাউন্ডারের। ৬৭ রানে অপরাজিত ঋতুরাজ গায়কোয়াড়। ইনিংসের প্রথম বলে ফিল সল্টের উইকেট হারালেও পাওয়ার প্লে তে ম্যাচের রাশ ছিল নাইটদের হাতে। ৬ ওভারের শেষে ১ উইকেট হারিয়ে কেকেআরের রান ছিল ৫৬।

কিন্তু জাড্ডুর এক ওভার ম্যাচের রং বদলে দেন। ওভারের প্রথম এবং পঞ্চম বলে ফিরিয়ে দেন অঙ্গকৃষ রঘুবংশী (২৪) এবং সুনীল নারিনকে (২৭)। এটাই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট।

এরা ফেরার পর কেকেআরের গোটা ইনিংসে একটি মাত্র ছয়, পাঁচটি চার। চেন্নাই বোলারদের কাছে আত্মসমর্পণ করে নাইটরা। মাত্র ৮ রানে ৩ উইকেট হারায় কেকেআর। সর্বোচ্চ রান শ্রেয়স আইয়ারের। ৩২ বলে ৩৪ রান করে আউট হন কেকেআরের নেতা। ভেঙ্কটেশ আইয়ার (৩), রমনদীপ সিং (১৩), রিঙ্কু সিং (৯), আন্দ্রে রাসেল (১০) রান পায়নি।

চেন্নাই বোলারদের লাইন, লেন্থ বজায় রেখে বলের সামনে অসহায় দেখায় কে.কে.আরের ব্যাটারদের। আই.পি.এল’র মাঝেই টি-২০ বিশ্বকাপের দল নির্বাচন। নির্বাচকদের নজর কাড়ার সুযোগ ছিল রিঙ্কুর সামনে। কিন্তু ব্যর্থ কেকেআরের ফিনিশার। অঙ্গকৃষ ও নারিন ছাড়া কাউকেই সাবলীল দেখায় নি। এই ২জন ফিরতেই ম্যাচের দখল নিয়ে নেয় চেন্নাই। তিন উইকেট নেন রবীন্দ্র জাদেজা, তুষার দেশপান্ডে। বাংলাদেশ থেকে ফিরেই জোড়া উইকেট নিয়ে বেগুনি টুপি নিজের দখলে করে নেন মুস্তাফিজুর রহমান।

রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই ছন্দে চেন্নাই। ঋতুরাজ, মিচেলদের ব্যাটিং দেখে বোঝা দায় যে কয়েক মিনিট আগে এই পিচেই ব্যাট করেছে কেকেআর। প্রথম কয়েকটা ম্যাচে রান না পেলেও এদিন নাইটদের বিরুদ্ধে ফর্ম ফিরে পান চেন্নাইয়ের অধিনায়ক। সাতটি চারের সাহায্যে ৪৫ বলে ৫০ রান সম্পূর্ণ করেন। চার ম্যাচে এদিন প্রথম টসে জেতেন ঋতুরাজ। কেকেআরকে ব্যাট করতে পাঠান। তার স্বীকৃতি দেয় বোলাররা।

দ্বিতীয় ইনিংসে শিশিরের জন্য কার্যকরী হয়নি নাইটদের স্পিনাররা। দলের ২৭ রানে রাচিন রবীন্দ্র (১৫) ফিরে গেলেও দ্বিতীয় উইকেটে ৭০ রান যোগ করে ঋতুরাজ গায়কোয়াড় এবং ড্যারেল মিচেল। ২৫ রানে নারিনের বলে বোল্ড হন কিউয়ি ক্রিকেটার। কিন্তু তার আগে যা ড্যামেজ করার করে দেন মিচেল। শেষটা করেন ঋতুরাজ এবং শিবম দুবে। ৩টি ছয়, ১টি চারের সাহায্যে ১৮ বলে ২৮ রান করে আউট হন দুবে।

তখনও জয়ের জন্য ৩ রান প্রয়োজন। সবাইকে অবাক করে পাঁচ নম্বরে ব্যাট হাতে নামেন এমএস ধোনি। উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে চিদম্বরম স্টেডিয়াম। এই মুহূর্তই এদিন চিপকের দর্শকদের সেরা প্রাপ্তি। তবে ধোনি স্টাইলে উইনিং স্ট্রোক দেখা থেকে বঞ্চিত দর্শক। জয়ের রান নিলেন বর্তমান অধিনায়ক। ৯টি চারের সাহায্যে ৫৮ বলে ৬৭ রানে অপরাজিত ঋতুরাজ।
তথ্যসূত্র: আজকাল অনলাইন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ