শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
লাগাম টেনে ধরবে কে?
সাধারণ মানুষেণর জন্য রোজা যে মোটেও স্বস্তির হবে না তা বেশ আগে থেকেই টের পাওয়া যাচ্ছিল। কেননা বাজারের নিত্যপণ্যের দাম ক্রমগতিতে বাড়ছিল। সেই বাড়ন্ত দাম নিয়ে রমজান মাস শুরু হয়ে গেল। সোমবার রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। অর্থাৎ আজ মঙ্গলবার থেকে রোজা শুরু হলো। রোজার জন্য কেনাকাটা সোমবার থেকেই শুরু হয়েছে। সেখানে ক্রেতাদের স্বস্তি ছিল না। অস্বস্তি আরো বাড়তে পারে এমন আশংকাও করা হচ্ছে।
রমজান মাসে সরকার নিত্যপণ্যের আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করেছে অনেক পূর্বেই। আমদানি পণ্য বিশেষ করে খেজুর ও ছোলার বাজার দর কমার কথা ছিল- বাস্তবে তা হয়নি। বাজার তার নিজের মত করে চলছে। অর্থাৎ শুল্ক প্রত্যাহারের সুবিধার পুরোটাইি আমদানিকাররা ভোগ করছে। ভোক্তা পর্যায়ে এর কোনো প্রভাব নেই। সরকার-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাজারে নিত্যপণ্যের সরবরাহ পর্যাপ্ত। কিন্তু খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরবরাহ কম তাই দাম বাড়তি। তাদের বেশি দাম দিয়ে পণ্য আনতে হচ্ছে, তাই বেশি দামে বিক্রিও করতে হচ্ছে। তা হলে সাধারণ ভোক্তাদের উপায় কী? তাদের ব্যয় নির্বাহ করতে হিমসিম খাওয়া ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই। কোনো কর্তৃপক্ষ বাজার নিয়ন্ত্রণ করবেন- তেমনটিও লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।
খুবই উদ্ভুত ব্যাপার যে, দেশে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার নামে প্রায়শই এক শ্রেণির মানুষ দেশে হাঙ্গামা বাধিয়ে দেয়। কিন্তু যখন সিন্ডিকেশন করে পবিত্র রজমান মাসে সব ধরনের পণ্যের দাম বাড়িয়েই চলে তখন ওইসব মানুষর ধর্মীয় অনুভূতিতে মোটেও আঘাত লাগে না। অথচ মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলোতে বরং এর ব্যতিক্রমই ঘটে। সেখানে রমজান মাসে পণ্যমূল্য কমানো হয়। এবারো রমজান মাস সামনে রেখে কাতার ৯শো পণ্যের দাম কমিয়ে দিয়েছে। এটা নতুন কিছু নয়Ñ প্রতিবছর রমজানে দেশটি একইভাবে পণ্যমূল্যের দাম কমিয়ে দেয়। আমাদের দেশে কমানো তো দূরের কথা পণ্যের কয়েকগুণ দাম বাড়িয়ে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস তৈরি করে। এই দুর্বৃত্তায়িত মানসিক অবস্থা থেকে বাজারকে রক্ষা করা অতিব গুরুত্বপূর্ণ। সরকারের নজরদারিটা কঠিনভাবে হতে হবে এবং সেটা নিয়মিতভভাবে।