রোজার আগেই পণ্যমূল্যে অস্বস্তি!

আপডেট: ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৪, ১২:১০ পূর্বাহ্ণ

বাজার নিয়ন্ত্রণে নজরদারি কই?

রমজান মাস শুরুর আগেই বেড়ে গেল চিনির দাম। কেজি প্রতি ২০ টাকা বাড়িয়ে সরকারি মিলে চিনির সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১৬০ টাকা নির্ধারণ করেছে চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশন। বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই দাম বৃদ্ধির কথা জানান হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে চিনির দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে উল্লেখ করা হয়, আন্তর্জাতিক ও দেশীয় চিনির বাজার মূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতেই দেশে উৎপাদিত চিনির বিক্রয়মূল্য পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে এই চিনির এই মূল্যবৃদ্ধি ভোক্তাদের কাছে অস্বস্তির কারণও হতে পারে। কেননা চিনির সাথে নিত্য প্রয়োজনীয় অন্য দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির আশংকার বিষয়টি চলে আসতে পারে। নতুন সরকার যখন বলছে বাজার স্থিতিশীল রাখাটাই তাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।

তদুপরি বাজারে পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে এখনো উল্লেখযোগ্য কোনো প্রভাব পড়েনি। যদিও পণ্যমূল্য বৃদ্ধির ব্যাপারে সরকারের মন্ত্রী ও কর্তব্যক্তিরা দেশের মানুষকে আশার কথা শুনিয়ে যাচ্ছেন। এমনকী তারা এই প্রতিশ্রুতিও দিচ্ছেন যে, রমজান মাসে পণ্যের মূল্য স্বাভাবিক রাখা হবে। কিন্তু বাজারে এর কোনো প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। বরং মূল্যবৃদ্ধির প্রবণতা বাড়ছেই। সরকার পক্ষ থেকে বারবার অবৈধ মজুদের বিরুদ্ধে বারবার হুশিয়ারি উচ্চরণ করা হচ্ছে। কিন্তু এর জন্য কী পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে সেটা পরিস্কার নয়।

কয়েকটি পণ্য আমদানির জন্য শুল্ক কমানো হয়েছে কিন্তু ওই সব পণ্যের দামেও বাজারে কোনো প্রভাব পড়েনি। কিন্তু মানুষ সরকারের কথা ও কাজে আস্থাবান হতে চায়। বাজারে যদি এর প্রভাব না পড়ে তবে প্রতিশ্রুতি অন্তঃসারশূন্য হিসেবেই বিবেচিত হবে। দেশের মানুষ বাজারে নিত্যপণ্যের স্থিতিশীল বাজার দেখতে চায়। সেই স্বস্তির জায়গা নিশ্চিত করাই এই মুহূর্তে সরকারের দায়িত্ব হবে। কোনো পক্ষকে দায়ি করেই দায় সারা যাবে না। যদি কেউ বা কারা দায়ি হয় তবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাা নেয়ার দায়ও সরকারের। বিষয়টি সমন্বিত উপায়ে কঠিনভাবে নজরদারি না করলে রমজান মাসে বাজারের স্বস্তি আনা কঠিনই হবে।