শহর নোংরা করার প্রবণতা!

আপডেট: মার্চ ২১, ২০২৪, ১২:১০ পূর্বাহ্ণ

গর্হিত কাজ, প্রত্যাশিত নয়

রাজশাহী দেশের সবচেয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন শহর। এটা কোনো ব্যক্তি, গোষ্ঠি কিংবা সংস্থার দাবি নয়- নগরবাসীর চোখের সামনেই এই শহরের বদলে যাওয়ার চিত্রটা উপলব্ধি-অনুভবের মধ্যে আছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে যে বা যারাই রাজশাহী ভ্রমণ করেছেন, তাদের সকলেই রাজশাহী শহরের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও সৌন্দর্যের প্রশংসার বিষয়টি অতিরঞ্জিত কোনো বিষয় নয়। রাজশাহী মহানগরী রেশমের নগরী, শিক্ষার নগরী, আমের নগরীর পাশে পরিচ্ছন্ন নগরীরও খ্যাতি অর্জন করেছে। এটা রাজশাহীবাসীর জন্য কম গৌরবের বিষয় নয়।

এ বোধের অংশিদারিত্ব করা রাজশাহীর প্রতিটি বাসিন্দার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। রাজশাহীবাসীকে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে উদ্যোগি হওয়াই স্বাভাবিক। এটাকে কোনো রাজনৈতিক মতপার্থক্যের কিংবা বিরোধিতার অবস্থান থেকে দেখা মোটেও শোভন কাজ হবে না। কিন্তু খুবই দুঃখজনক ঘটনা যে, এমন বিষয় ঘটেছে। এটা কতটুকু ইচ্ছে কিংবা অনিচ্ছাকৃত সেটা নিয়ে বিতর্ক করাই যায়। কিন্তু যারা নগরীতে জঞ্জাল ছড়িয়ে রাখতে চায়- তাদের সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে।

১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ছিল। জাতীয়ভাবে দিনটি সারাদেশে সাড়ম্বরে উদযাপিত হয়েছে। আর এই মহান নেতার জন্মদিন পালন করতে গিয়ে আবর্জনার স্তুপ তৈরি করে তারা বঙ্গবন্ধুর প্রতিই কি সম্মান জানাতে পারলেন? বিষয়টি গভীর বেদনার বিষয় এই যে, রাজনৈতিক দলের কর্মিরাই এই গর্হিত কাজটি করেছেন। এটা লজ্জারও।

সোনার দেশ পত্রিকার এক প্রতিবেদনের খবর, ওইদিন একটি রাজনৈতিক দলের রাজশাহী জেলা শাখার ব্যানারে নগরীর অলকার মোড়ে এক ইফতার আয়োজন করা হয়। ইফতার শেষে খাবারের প্যাকেট ছড়িয়ে ছিটিয়ে পুরো অলকার মোড় ও আশপাশের এলাকা নোংরা করে রাখা হয়। বিষয়টি পথচারীদের কাছে কাণ্ডজ্ঞানহীন কাজ বলেই মনে হয়েছে। এটা কোনোভাবেই প্রত্যাশিত ছিল না। এ ধরনের গর্হিত কাজের পুনরাবৃত্তি হবে না বলেই আমরা প্রত্যাশা করি।