স্বাস্থ্য খাতের শৃঙ্খলা ফেরাতে ১০টি নির্দেশনা

আপডেট: ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২৪, ১২:১০ পূর্বাহ্ণ

পরিস্থিতি পাল্টেবে কি ?

লাইসেন্সধারী হাসপাতাল ও ক্লিনিক ছাড়া ডাক্তারের চেম্বার বা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অ্যানেস্থেসিয়া দেয়া এবং বিএমডিসির স্বীকৃত অবেদনবিদ ছাড়া যে কোনো ধরনের অস্ত্রোপচার করা নিষিদ্ধ আছে। কিন্তু এই নিষেধাজ্ঞা অমান্যের ঘটনা বহুল। এটা এতো বেশি দৌরাত্ম্যপূর্ণ যে উল্লিখিত নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি উপেক্ষিত। বরং যা কিছু ঘটমান তাই নিয়ম বনে গেছে। এটা এই কারণেই যে, নিষেধাজ্ঞা মান্য করার জন্য নজরদারি কিংবা বাধ্যবাধকতা তৈরি করা। ইচ্ছেমতই যার যা নিজস্ব নিয়ম করে নেয়। একর পর এক দুর্ঘটনার খবর দেশবাসীকে জানতে হয়। যখন বড় ধরনের কিছু ঘটে তখন সারা দেশে হইহই রইরই পড়ে যায়। মানুষ সোচ্চার হয়, প্রতিবাদ-সমাবেশ হয়, আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগও তৎপর হয়ে ওঠে। অতিত অভিজ্ঞতা বলে সময়ের ব্যবধানে সব কিছুই থেমে যায়। আগের মতই সবকিছু চলতে থাকে। এবার কি এর অন্যথা হবে?

স্বাস্থ্য খাতের সম্প্রতি ঢাকার মালিবাগের জেএস ডায়াগনস্টিক সেন্টার অ্যান্ড মেডিকেল চেকআপ সেন্টারে খতনা করাতে এসে মারা যায় ১০ বছরের এক শিশু। ওই ঘটনায় ক্লিনিকের দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ওই প্রতিষ্ঠানের রোগ নির্ণয়ের অনুমোদন থাকলেও চিকিৎসা সেবা দেয়ার অনুমোদন ছিল না।

স্বাস্থ্য খাতের নৈরাজ্য ও দুর্নীতি নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে প্রায়ই সংবাদ প্রকাশিত হয় কিন্তু সমস্যা যে তিমিরে থাকে সেখান থেকে উন্নতি ঘটে না। বর্তমান স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্বয়ং দেশের প্রখ্যাত চিকিৎসক। তিনি পেশাদারিত্বে অনন্য, দক্ষ ও সততার দৃষ্টান্ত। তিনি জাতিকে অস্বাস্থ্যকর স্বাস্থ্য খাতের স্বাস্থ্য ফেরাতে দৃঢ় সংকল্প। উল্লিখিত ঘটনার পর তিনি দৃঢ়তার সাথে পরিস্থিতি মোকাবিলায় পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে। মন্ত্রীকে নিয়ে দেশের মানুষের প্রত্যাশাও অনেক।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর হাসপাতাল ও ক্লিনিকের ক্ষেত্রে যে কোনো ধরনের অস্ত্রোপচারের জন্য একজন রেজিস্টার্ড চিকিৎসককে সার্জনের সহকারী হিসেবে রাখাসহ ১০টি নির্দেশনা এসেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে। যা বেসরকারি স্বাস্থ্য খাতের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে ১০টি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কিন্তু এই নির্দেশনাই শেষ কথা নয়- নির্দেশনা সর্বত্র পালিত হবে তো? পূর্ব অভিজ্ঞতা বলে- এমন উদ্যোগ নেয়া হয় বটে, তবে তার প্রয়োগ কিংবা নজরদারি হয় না বললেই চলে। তারপেরও দেশের মানুষ আশাবাদি- এবার কিছু একটা হবে।