পাকিস্তানের দ্বিতীয় বৃহত্তম নৌসেনা ঘাঁটিতে বালোচ হামলা, মৃত অন্তত ১২ সেনা কর্তা!

আপডেট: মার্চ ২৬, ২০২৪, ৮:৪৬ অপরাহ্ণ

পাকিস্তানের দ্বিতীয় বৃহত্তম নৌসেনা ঘাঁটিতে বালোচ হামলা, মৃত অন্তত ১২ সেনা কর্তা!

সোনার দেশ ডেস্ক:


বালোচ বিদ্রোহীদের আক্রমণে ফের কেঁপে উঠল পাকিস্তান। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকালে সেদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম নৌসেনা ঘাঁটিতে হামলা চালায় বালোচ বিদ্রোহীরা। বিস্ফোরণ আর গুলিবৃষ্টিতে কেঁপে উঠেছে তুরবাটের পিএনএস ঘাঁটি। গোটা ঘটনায় ব্যাপক প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে। উল্লেখ্য, মাত্র ছদিন আগে পাকিস্তানের গোদার বন্দরেও হামলা চালিয়েছিল বালোচরা।

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, মঙ্গলবার ভোরবেলায় আচমকাই তুরবাটে নৌসেনার বিমান ঘাঁটিতে ঢুকে পড়ে সশস্ত্র বালোচ বিদ্রোহীরা। লাগাতার গুলি চালানোর পাশাপাশি শুরু হয় বোমা বিস্ফোরণ। অসমর্থিত সূত্রের খবর, অন্তত ৬ ঘণ্টা ধরে সেনা কর্মীদের সঙ্গে বালোচ বিদ্রোহীদের গুলির লড়াই চলেছে। এই হামলায় অন্তত ১২ জন সেনা কর্মকর্তার মৃত্যু হয়েছে বলে বালোচদের দাবি। গোটা ঘটনার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মি।

পাকিস্তানের বিদ্রোহীদের দাবি, নৌসেনার এই ঘাঁটিতেই মোতায়েন থাকে চিনা ড্রোন। সেগুলো লক্ষ্য করেই আক্রমণ শানানো হয়েছে। হামলার পরে বিবৃতি প্রকাশ করেছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। জানানো হয়, বালোচ হামলায় শহিদ হয়েছেন এক আধা সেনাকর্মী। সেনার পালটা মারে নিকেশ হয়েছে অন্তত ৫ বিদ্রোহীও। হামলার পরে পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেন, ‘বড়সড় বিপদের হাত থেকে আমরা বেঁচে গিয়েছি।’ হামলার খবর পেয়েই বাড়তি সতর্কতা জারি হয়েছে তুরবাটের স্থানীয় হাসপাতালে।

প্রসঙ্গত, গত বুধবারই বালোচ হামলার কবলে পড়েছিল পাকিস্তান। আরব সাগরের তীরে এই গোদার বন্দরটি চিনের বেল্ট অ্যান্ড রোড প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত। বন্দরের উন্নয়নেও বিপুল বিনিয়োগ করেছে শি জিনপিংয়ের প্রশাসন। বালোচিস্তানে প্রবল অশান্তি, জঙ্গি হামলা সত্ত্বেও এই বন্দরের উন্নয়ন হয়েছে বেল্ট অ্যান্ড রোড প্রকল্পের মাধ্যমে। সেই হামলায় ৮ জন বালোচ বিদ্রোহী এবং দুই পাক সেনার মৃত্যু হয়। মাত্র ছ’দিনের মাথায় আবারো হামলা বালোচদের।
তথ্যসূত্র: সংবাদ প্রতিদিন অনলাইনর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ