বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ১২০৯ ফেইস হতে নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই কয়লা উত্তোলন শুরু

আপডেট: ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৪, ৪:২০ অপরাহ্ণ


এম এ আলম বাবলু,পার্বতীপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি :দেশের বৃহৎ পার্বতীপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ১২০৯ ফেইজ হতে কয়লা উত্তোলন শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬ টা থেকে ১ মাস ১৬ দিন বন্ধ থাকার পর আবারো কয়লা উত্তোলন কাজ শুরু হলো।

জানা গেছে, বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে প্রথম দিকে পরীক্ষামূলক দৈনিক ১৫শো থেকে ২ হাজার টন এবং পরবর্তীতে ৩ হাজার থেকে ৩৫শো টন হারে উত্তোলিত হবে। নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদনে বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে জ্বালানি হিসেবে এই কয়লা ব্যবহার হচ্ছে। পেট্রোবাংলা ও বিসিএমসিএল পরিচালনা পর্ষদের দিক নির্দেশনায় বিসিএমসিএল ও কনসোর্টিয়াম এর কর্মকর্তা এবং স্থানীয় শ্রমিকদের প্রচেষ্টায় নির্দিষ্ট সময়ের ১৫ দিন পূর্বেই ১২০৯ ফেইজ হতে কয়লা উত্তোলন শুরু করা সম্ভব হয়েছে।

জানা যায়, ১৪১২ ফেইজের কয়লা উত্তোলন শেষে সব ইকুইপমেন্ট স্যালভেজ যথাযথ মেইন্টেনেন্স এবং চিন থেকে আসা নতুন সেট পাওয়ার সাপোর্ট ১২০৯ ফেইজে ইন্সটলেশন করা হয়েছে। এরপরই এই ফেইজ থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু হয়। এই ফেইজের কয়লা উত্তোলন লক্ষমাত্রা ৩ দশমিক ৬০ লক্ষ টন। যা আগামী জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত উত্তোলিত হবে বলেÑ এমনটাই আশা করা হচ্ছে। উত্তোলিত সমূদয় কয়লা নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদনে বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে সরবরাহ করা হবে।

১২০৯ ফেইসেজর পূর্বে ১৪১২ ফেইজ থেকে ২০২৩ এর ২৯ ডিসেম্বরে কয়লা উত্তোলন শেষ হয়েছে। ১৪১২ ফেইজ হতে ২ দশমিক ২০ লক্ষ টন কয়লা উত্তোলনের লক্ষমাত্রা’র বিপরীতে প্রায় ২ দশমিক ৭২ লক্ষ টন কয়লা উত্তোলিত হয়েছে। যা লক্ষমাত্রা’র প্রায় শতকরা ২৪ ভাগ বেশি। ফেইজের যাবতীয় ইকুইপমেন্ট স্যালভেজ শেষে খনির নিরাপত্তার স্বার্থে ২৬ জানুয়ারি ফেইজটি সিল করে দেয়া হয়।

উল্লেখ্য, বর্তমানে বিসিএমসিএল ও পিডিবি প্রান্তে পিডিবির আওতায় প্রায় ৭৫ হাজার টন কয়লা’র মজুদ রয়েছে। বর্তমানে বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে দৈনিক ১৮০ মেগাওয়াট হারে বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিপরীতে দৈনিক প্রায় ১.৮৫০ টন কয়লার ব্যবহার হচ্ছে।
এ ব্যাপারে বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লি. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. সাইফুল ইসলাম নতুন ফেইজে কয়লা উত্তোলনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ