২৬ এপ্রিল ৯৭: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র শিবিরের মহাসন্ত্রাস

আপডেট: এপ্রিল ২৬, ২০২৪, ১২:০৮ পূর্বাহ্ণ


প্রফেসর ড. আবদুল খালেক:


১৯৯৭ সালের ২৬শে এপ্রিল তারিখে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যলয়ে ইসলামি ছাত্র শিবির যে নারকীয় তাণ্ডব চালিয়েছিল, সে তাণ্ডবের কথা আমরা আজ ভুলে যেতে বসেছি। কিছু কিছু ঘটনা আছে, যা ভুলে যাওয়া দেশ এবং জাতির জন্য ক্ষতিকর। ১৯৯৬ সালের জুন মাসে নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ যখন রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়, তখন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছিল কট্টর মৌলবাদী শক্তির নিয়ন্ত্রণে। ১৫ই আগস্ট রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় শোক দিবস পালন করতে দেয়া হবে না, মৌলবাদী একটি ছাত্র সংগঠন এ কথা বলারও ধৃষ্টতা দেখিয়েছিল। আমরা তাদের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছিলাম এবং ক্যাম্পাসে যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে জাতীয় শোক দিবস পালন করেছিলাম।

১৯৯৭ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি আমাকে যখন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে নিয়োগ দেয়া হয়, মৌলবাদী ছাত্র সংগঠন ‘ইসলামি ছাত্র শিবির’ আমার প্রতিটি কাজে মারাত্মক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে থাকে। উপাচার্যের দায়িত্ব নেয়ার পর প্রথমেই আমাদের প্রশাসন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষ অনার্স ভর্তি পরীক্ষা ত্রুটিমুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করে। কলা অনুষদের ডিন থাকাকালীন (১৯৯৪-১৯৯৬) লক্ষ্য করেছিলাম, অনুষদ ভিত্তিক ভর্তি পরীক্ষায় মেধা যাচাইয়ের ক্ষেত্রে নানা রকমের ঘাপলা ও ত্রুটি বিচ্যুতি রয়ে গেছে। পরীক্ষা কমিটির সদস্যদের কাছ থেকে প্রাপ্ত পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, ১৯৯৬ সালের অনুষদ ভিত্তিক ভর্তি পরীক্ষায় কলা অনুষদের মেধা তালিকায় স্থান পাওয়া প্রথম ১০০ জনের মধ্যে ৮৮ জনই আরবি এবং ইসলামী শিক্ষা বিষয়ে পরীক্ষা দেয়া ছাত্র-ছাত্রী এবং তারা সবাই মাদ্রাসা থেকে এসেছে। ভাবখানা এরকম, মাদ্রাসাতেই শুধু মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী আছে, কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা মেধাশূন্য।

প্রকৃত মেধা যাচাইয়ের লক্ষ্যে ভর্তি পরীক্ষার সংস্কার সাধন করে যখন বিভাগ ভিত্তিক মেধা যাচাইয়ের ব্যবস্থা করা হয়, ইসলামি ছাত্র শিবিরের পক্ষ থেকে এই প্রক্রিয়ার প্রচণ্ড বিরোধিতা শুরু হয়ে যায়। বিভাগ ভিত্তিক ভর্তি পরীক্ষা বন্ধ করার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয় ছাত্র শিবিরের সন্ত্রাসী তৎপরতা। ২৬ এপ্রিলের তাণ্ডবের মূল উদ্দেশ্য ছিল বিভাগ ভিত্তিক ভর্তি পরীক্ষা বন্ধ করে দেওয়া। তবে শেষপর্যন্ত তাদের সে উদ্দেশ্য সফল হয়নি ।

২৬ এপ্রিলের সন্ত্রাসী আক্রমণ কতটা ভয়াবহ ছিল, ২৭ এপ্রিলের পত্র-পত্রিকার দিকে তাকালেই বিষয়টি স্পষ্ট হবে। জাতীয় সবগুলো দৈনিক পত্রিকার প্রথম এবং প্রধান খবর ছিল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘটিত নারকীয় তাণ্ডবের ঘটনা। ২৭ এপ্রিল তারিখে প্রকাশিত দৈনিক জনকণ্ঠে : প্রথম পৃষ্ঠার প্রধান খবরের শিরোনাম ছিল “ভিসির অফিস বাসভবন ভাংচুর : শিক্ষকদের বাড়িতে হামলা, বোমা ককটেলে ওসিসহ ৬ পুলিশ গুরুতর জখম।”

দৈনিক জনকণ্ঠের স্টাফ রিপোর্টারের প্রতিবেদনটি ছিল একরম- “রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবির শনিবার আরেক দফা লঙ্কাকাণ্ড ঘটিয়েছে। প্রথম বর্ষ সম্মানের ভর্তি আবেদন ফরম বিতরণের প্রথম দিনে তারা দফায় দফায় সশস্ত্র হামলা চালিয়ে বোমা ফাটিয়ে ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। এ ঘটনায় অন্তত ২৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী আহত হয়েছেন। শিবিরের ক্যাডাররা উপাচার্য প্রফেসর আব্দুল খালেকের বাসভবনে হামলা চালায় এবং অফিসের যাবতীয় আসবাবপত্র ভাংচুর করে। তারা শহীদ জোহা হলের প্রভোস্ট আব্দুর রহমান সিদ্দিকীর বাসভবন এবং সিন্ডিকেট সদস্য প্রফেসর হাবিবুর রহমানের বাসভবনে হামলা করে আসবাবপত্র টিভি রেডিওসহ যা পেয়েছে, তাই ভাংচুর করেছে।

ভিসি অফিসের ৪টি গাড়ি, মাইক্রোবাস ও পুলিশের ১টি মোটর সাইকেলও ভাংচুর করে। পুলিশ জানায়, গতকাল শিবির ক্যাম্পাসে তিন দিনের ধর্মঘটের ডাক দেয়। সকাল থেকে তারা ক্যাম্পাসের অগ্রণী ব্যাংকে ভর্তির আবেদন ফরম সংগ্রহে আসা অভিভাবক ও ছাত্র-ছাত্রীদের জিম্মি করে ফেলে এবং বোমা ফাটিয়ে সন্ত্রাসের সৃষ্টি করে। পুলিশ প্রথম পর্যায়ে তাদের বিচিছন্ন করে দিলেও মুহূর্তের মধ্যে তারা আবার দলে দলে অস্ত্রসহ পুলিশের প্রতি চ্যালেঞ্জ করে ভিসির বাসা, প্রভোস্টের বাসা, ক্যাম্পাস ও ব্যাংক চত্বর দখল নিয়ে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে।

এদিকে রাজশাহীতে অবস্থানরত পরিকল্পনা ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী ড. মহিউদ্দিন খান আলমগীর শনিবার বিকালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিবিরের ক্যাডারদের দ্বারা সংঘটিত পরিস্থিতি সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। তিনি পরিস্থিতি মোকাবিলা ও ক্যাম্পাস পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য শহীদ জোহা হলে জরুরী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপনের নির্দেশ দেন।”

২৭.০৪.৯৭ দৈনিক আজকের কাগজের প্রথম পৃষ্ঠার খবরের শিরোনাম ছিল- “শিবিরের উন্মত্ত ধ্বংসযজ্ঞঃ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসায় বোমা হামলা: শিক্ষকদের বাসায় বাসায় হামলা, ভাংচুর, লুটপাট: কর্মচারীদের মারধর, যানবাহনে আগুন।”

দৈনিক আজকের কাগজ পত্রিকার খবরটি ছিল এ রকম- “মৌলবাদী সংগঠন ছাত্র শিবিরের সশস্ত্র কর্মীদের হাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস তছনছ হয়েছে। এই নারকীয় ধ্বংসযজ্ঞের ক্ষয়-ক্ষতি প্রায় কোটি টাকা। উপাচার্যসহ শিক্ষকদের বাসায় বাসায় শক্তিশালী বোমা ছোঁড়া হয়েছে, হামলা ও ভাংচুর হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন কর্মচারী শিবির ক্যাডারদের হাতে জখম হয়েছে। জানা গেছে, শিবিরের ডাকা ধর্মঘট চলাকালে দুপুর ১২টার দিকে আকস্মিকভাবে শিবিরের সশস্ত্র ক্যাডাররা উন্মত্ত হয়ে ভাংচুর, মারধর, বোমাবাজি ও জ্বালাও-পোড়াও শুরু করে। শিবির কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রণী ব্যাংক, প্রশাসনিক ভবন, উপাচার্যের মূল বাসভবন ও বর্তমান উপাচার্যের বাসভবনসহ বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী শিক্ষকের বাসায় হামলা চালায়।

এই ধ্বংসযজ্ঞ চলাকালে শিবির ক্যাডারদের হাতে কয়েকজন কর্মচারী আহত হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ মতে, গতকাল সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়স্থ অগ্রণী ব্যাংক শাখায় প্রথম বর্ষ ভর্তি ফরম প্রদানকালে শিবিরের ক্যাডাররা ব্যাংকে বোমাবাজি চালিয়ে ক্যাম্পাসে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এক ঘণ্টা ধরে ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর সময় শিবির ক্যাডাররা মুখে কালো কাপড় বেঁধে ক্যাম্পাসে ব্যাপক বোমাবাজীর মাধ্যমে এক ভয়াবহ ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করে। ছাত্র-ছাত্রীরা এ সময় প্রাণ ভয়ে এদিক-সেদিক ছুটোছুটি করতে থাকে। প্রথমে শিবির কর্মীদের একটি সশস্ত্র গ্রুপ উপাচার্যসহ শতাধিক শিক্ষককে উপাচার্য অফিসে অবরুদ্ধ করে রেখে অগ্রণী ব্যাংক ও প্রশাসনিক ভবনে ধ্বংসলীলা চালায়।

এরপর তারা উপাচার্যের মূল বাসভবনে হামলা চালিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের দু’টো মাইক্রোবাস এবং পুলিশের ১টি মোটর সাইকেল পুড়িয়ে দেয়। এ সময় শিবিরের দুটি সশস্ত্র গ্রুপ বর্তমান উপাচার্যের বাসভবনে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য হাবিবুর রহমান আকন্দের বাসায় হামলা চালিয়ে ব্যাপক ধ্বংসলীলা চালায়। বর্তমান উপাচার্যের বাসভবনে শক্তিশালী বোমা ছুঁড়লে তাঁর পবিারের সদস্যরা অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পায়। শিবির সবশেষ হামলা চালায় জোহা হলের প্রাধ্যক্ষ আব্দুর রহমান সিদ্দিকীর বাসায়। বোমাবাজীর বিকট শব্দে সিদ্দিকীর পরিবারের সদস্যরা ভয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ে। এ সময় জোহা হলের প্রাধ্যক্ষ কোনমতে পালিয়ে প্রাণ রক্ষা করলেও তাঁর বাড়ির সমস্ত আসবাবপত্র ভেঙে চুরমার ও দামী জিনিসপত্র লুট করা হয়।”

২৭.৪.৯৭ তারিখের দৈনিক ইত্তেফাক, সংবাদ, ভোরের কাগজ এবং অন্যান্য জাতীয় পত্রিকায় একই ধরণের খবর পরিবেশিত হয়। পত্রিকায় প্রকাশিত খবরাখবরের সাথে আক্রান্ত শিক্ষকদের লিখিত রিপোর্ট এবার মিলিয়ে দেখা যেতে পারে। অধ্যাপক হাবিবুর রহমান আকন্দ মতিহার থানায় যে এজহার পেশ করেছিলেন তাতে উল্লেখ আছে-“অদ্য ২৬ এপ্রিল ১৯৯৭ দুপুর ১টার পরে ৫০/৬০ জন বহিরাগত ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আমার বাসভবনে বিভিন্ন মারাত্মক অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আক্রমণ করে। প্রথমে তারা আমার নাম ধরে ডাকাডাকি ও গালিগালাজ করে। অতঃপর দরজা-জানালা লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোঁড়ে। পরে দরজা না ভাংতে পেরে কুড়াল দিয়ে দরজা ভেঙ্গে ভিতরে ঢোকে এবং বাসার সমস্ত ব্যবহারিক জিনিসপত্র ভেঙ্গে চুরমার করে। আনুমানিক পনের মিনিট সময় ধরে তারা ঘরের মধ্যে এই তান্ডবলীলা চালায়। এরপর ঘর থেকে বের হয়ে ঘর সংলগ্ন গ্যারেজে সংরক্ষিত জিনিসপত্রে অগ্নি সংযোগ করে।”

জোহা হলের প্রাধ্যক্ষ ড. এম আব্দুর রহমান সিদ্দিকী মতিহার থানায় যে এজহার দায়ের করেন, তাতে উল্লেখ আছে- “অদ্য ২৬-০৪-৯৭ই তারিখ বেলা ১.৪৫ মিনিটের দিকে ১৪/১৫ জন উত্তেজিত এবং সশস্ত্র যুবক নারায়ে তাকবির ধ্বনি দিয়ে হঠাৎ আমার বাসার প্রধান গেটের সামনে উপস্থিত হয় এবং তা তৎক্ষণাত গেটের দরজা ভেঙ্গে ফেলে বাসার অঙ্গনে প্রবেশ করে। তারা অত্যন্ত অশ্রাব্য ও অশ্লীল ভাষায় আমার নাম ধরে গালিগালাজ করতে করতে আমার দিকে আসতে থাকে এবং একটি বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। আমি তাদের সশস্ত্র ও উন্মত্ত ভাবভঙ্গি দেখে কৌশলে রান্না ঘরের পিছন দরজা দিয়ে প্রতিবেশীর বাড়ীর দিকে চলে যাই।

অতঃপর প্রতিবেশীর বাড়ী থেকে আমার বাসার ভিতরে বোমা বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পাই এবং আমার স্ত্রী, পুত্র, কন্যাদের চিৎকার কান্নাকাটির আওয়াজ ভেসে আসে। কিছুক্ষণ পরে নিজ বাসায় পৌঁছে জানতে পাই নিচতলা লন্ডভন্ড করার পর তারা আমাকে অনুসন্ধান করতে করতে দোতলায় উঠে আসে এবং আমার স্ত্রী, পুত্র-কন্যাদের হুমকি দিয়ে এ ঘর থেকে সে ঘরে তাড়া করে নিয়ে যায়। আমার ভীত সন্ত্রস্ত পরিবার পরিজন ছোট বক্স রুমে আশ্রয় গ্রহণ করে। এই সময় সন্ত্রাসীরা আমার স্টাডি রুমে ঢুকে একটি বোমা নিক্ষেপ করে। সে বোমার আঘাতে ঐ কক্ষের জিনিসপত্র তছনছ হয়ে যায়।”

২৬ এপ্রিলের নারকীয় তাণ্ডব সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন প্রক্টর যে রিপোর্ট পেশ করেছিলেন, তাতে উল্লেখ আছে- “সন্ত্রাসীরা ২৬শে এপ্রিল ৯৭ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন থাকা সত্ত্বেও সকাল ৯টার দিকে জঙ্গী মিছিল নিয়ে বিনা বাধায় ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে এবং বিভিন্ন উস্কানিমূলক শ্লোগান দিতে দিতে প্রধান প্রধান রাস্তা প্রদক্ষিণ করতে থাকে। তারা এক সময় মিছিল শেষে প্রশাসন ভবন ও ব্যাংকের সামনে পিকেটিং করতে শুরু করে এবং কোন কোন পথচারীকে রাস্তায় চলাফেরা করতে অথবা ব্যাংকের দিকে অগ্রসর হতে বাধা প্রদান করে। এই সময় সার্বিক পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি ঘটতে থাকে।

এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা মারাত্মক অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পুলিশ বাহিনীকে বিতাড়িত করে বর্তমান উপাচার্যের ব্যক্তিগত বাসভবনে আক্রমণ করে। সেখানে তারা বোমা হামলা চালায়, জানালা-দরজা ভাংচুর করে, ব্যক্তিগত লক্ষাধিক টাকার সম্পদ বিনষ্ট করে এবং উপাচার্য ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের প্রাণ নাশের প্রচেষ্টায় তাঁদের খোঁজাখুজি করতে থাকে। উপাচার্য মহোদয় তখন প্রশাসন ভবনের অফিসে অবস্থান করছিলেন। তাঁর ভীত সন্ত্রস্ত পরিবারবর্গ কোনভাবে লুকিয়ে আত্মরক্ষা করেন।”

ইসলামি ছাত্র শিবিরের মূল লক্ষ্য ছিল নানা রকম তাণ্ডব সৃষ্টির মাধ্যমে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়কে অচল করে দেয়া। তবে তাদের উদ্দেশ্য সফলতার মুখ দেখেনি। তৎকালিন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সার্বিক সহযোতিায় ইসলামি ছাত্র শিবিরের কোমর আমরা ভেঙ্গে ফেলতে সমর্থ হয়েছিলাম।

লেখক: সাবেক উপাচার্য, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়